রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : রিজার্ভের অর্থ লুটের ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন বলেছেন, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেসব উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আমরা আমাদের রিপোর্ট দিয়েছি, এখন সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও তদন্ত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে ফরাসউদ্দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করেছি। কিছুদিন আগে এ বিষয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ে আজ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিলাম। এ সময় তিনি আরো বলেন, আগের প্রতিবেদনে সুইফট ও ব্যাংকের গাফিলতির কথা বলা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনেও সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কোনও গাফিলতি ছিল কি-না এমন প্রশ্নের বিপরীতে ফরাসউদ্দিন বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেসব উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা অর্থ উদ্ধার করার একটি চিত্র দিয়েছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি একটি চক্র। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, এর মধ্যে ১৯.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলংকা থেকে ফেরত আনা গেছে। আর ৮১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে ফিলিপাইনে। সরিয়ে নেওয়া অর্থ পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাকাতি শাখার ৫টি অ্যাকাউন্টে।
অর্থ চুরির ঘটনার কারণ ও দোষীদের খুঁজে বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।